নিউজ ডেস্ক || বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে থেকে বিপুল জয়ের দিকে এগোচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি ও জেডি(ইউ) যথাক্রমে ৯৪ ও ৮৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে জয়ের উল্লাসের মধ্যেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন অমীমাংসিত: কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী?
নির্বাচনী প্রচারে এনডিএ নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে লড়াই করেছে। কিন্তু বিজেপির মহাসচিব বিনোদ তাওড়ে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জোটের পাঁচ শরিক—বিজেপি, জেডি(ইউ), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হম), রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) ও লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)—একযোগে বৈঠকে নেবে। “আমরা নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচন লড়েছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এই সিদ্ধান্ত এনডিএর পাঁচটি শরিক দল একসঙ্গে বসেই নেবে,” বলেছেন তাওড়ে।
দুপুর সাড়ে তিনটার তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি ৯৪ আসনে, জেডি(ইউ) ৮৪ আসনে, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ২৫ আসনে, এলজেপি(রামবিলাস) ১৯ আসনে, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) ৬ আসনে, হম ৫ আসনে, আরএলএম ৪ আসনে এবং অন্যান্য ৬ আসনে এগিয়ে। এই ফলাফল বিহারে বিজেপির ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ২০১০ সালের ৯১ আসনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
প্রচারের সময় চিরাগ পাসোয়ান ও জিতন রাম মাঝি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তবু তাওড়ের বক্তব্য নীতীশের ১০ম বারের শপথ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে নয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। বিজেপির শক্তিশালী পারফরম্যান্স জোটের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এনডিএ-র ‘সুনামি’ বিহারের রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিয়েছে। মহাগঠবন্ধনের আরজেডি-কংগ্রেস জোট পিছিয়ে পড়ায় বিরোধী শিবিরে হতাশা। বিজেপির উত্থান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কৌশল ও স্থানীয় জনসমর্থনের ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
এনডিএ-র শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষিত হবে। ফলাফল চূড়ান্ত হলে বিহারে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই নির্বাচন কেবল রাজ্যের ভবিষ্যৎ নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।
